সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রম চালু হচ্ছে। এ বিমানবন্দরে বসানো হচ্ছে ছয়টি ই-গেট। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যাদের কাছে ই-পাসপোর্ট আছে, তারাই ই-গেট দিয়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। ই-পাসপোর্টে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা বসানো রয়েছে। একজন ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য পাসপোর্টের মুদ্রিত ও চিপে সংরক্ষিত থাকে। ই-গেটে পাসপোর্ট স্ক্যান করার সাথে সাথে গেটের সঙ্গে সংযুক্ত ক্যামেরা যাত্রীকে শনাক্ত করবে। যা এতদিন ইমিগ্রেশন পুলিশ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করতো। যাত্রীকে শনাক্ত করার পরেই খুলে যাবে ই-গেট। এতে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষার আবসান ঘটবে।
জানা গেছে, বিমানবন্দরের সেবার মান আরো বাড়াতে এবং সেবা দ্রত করতে ই-গেট স্থাপন করা হচ্ছে। “ফ্লোরা লিমিটেড” নামের একটি প্রতিষ্ঠান সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট বসানোর কাজ করছে। ইতোমধ্যেই ই-গেট মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন করার পর ই-গেট সমঝিয়ে দেওয়া হবে ইমিগ্রেশন বিভাগকে। ওসমানী বিমানবন্দরে বহির্গমনের (ডিপার্টচার) জন্য তিনটি এবং আগমনের (অ্যারাইভাল) জন্য তিনটি করে ই-গেট বসানো হচ্ছে।
ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, ই-গেট বসানোর কাজ চলমান। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করে ইমিগ্রেশনকে বুঝিয়ে দেবে।
জানা গেছে, ই-গেটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনে সময় কম লাগবে এবং যাত্রীদের কোনো কর্মকর্তার প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে না। তবে ওসমানী বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রম শুরু হলে প্রাথমিকভাবে সাধারণ যাত্রীরা এই সুবিধা পাবেন না।
কেবল বাংলাদেশি ই-পাসপোর্টধারী কূটনৈতিক, অফিসিয়াল ই-পাসপোর্টধারী সরকারি কর্মকর্তা, বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা (সিআইপি), সেরা করদাতা কার্ডপ্রাপ্ত ই-পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা, ই-পাসপোর্টধারী পাইলট ও ক্রুরা এই সুবিধা পাবেন।
সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স কর্তৃক যাত্রীর ব্যাগেজ সংগ্রহ, টিকিট যাচাই-বাছাই এবং পাসপোর্টের চেকিং সম্পন্নের পর ই-গেট ব্যবহার করতে পারবেন।
২০১৮ সালের ১৯ জুলাই ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট অধিদফতর (ডিআইপি) এবং জার্মানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ সংস্থা ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই সংস্থাটির মাধ্যমেই ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট স্থাপন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিমানবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন বন্দরে ৫০টি ই-গেট বসাতে চায় ইমিগ্রেশন অধিদফতর।