মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৪ অপরাহ্ন

আজ বিশ্ব ব্রেইল দিবস

জাফলং নিউজ ডেস্ক / ২৭৪ শেয়ার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২২, ৫:১৪ পূর্বাহ্ন

আজ বিশ্ব ব্রেইল দিবস। বিশ্বের প্রতিটি দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। ব্রেইল কোন ভাষা নয়। এটি একটি লেখার পদ্ধতি। অন্ধও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য পড়ালেখার বিশেষ পদ্ধতির নাম  ব্রেইল। এই পদ্ধতির আবিষ্কারক লুইস ব্রেইল। যিনি কিনা ১৮০৯ সালের ৪ঠা জানুয়ারি প্যারিসের নিকটবর্তী কুপভেরি নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে সম্মান জানাতেই তার জন্মদিনে ব্রেইল দিবস পালন করা হয়। ২০১৯ সালের আজকের এই দিনে প্রথম “ব্রেইল দিবস” পালিত হয়।

★ব্রেইল পদ্ধতি  আবিষ্কারের ইতিহাস

লুইস ব্রেইল তিন বছর বয়সে অন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ১০ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। অন্ধদের উপযোগী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উনাকে ভর্তি করানো হয়। শিক্ষা জীবন সমাপ্ত হওয়ার পর তিনি অন্ধ যুবকদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষকতায় যোগদানের পর এক বছরের মধ্যে তিনি দৃষ্টিহীন ব্যক্তিদের শিক্ষাদানের সহায়তার উদ্দেশ্যে এই ব্রেইল পদ্ধতি আবিষ্কার করে।

 ★ব্রেইল পদ্ধতি কি?

কাগজের উপর ছয়টি বিন্দুকে ফুটিয়ে তুলে লিখার একটি পদ্ধতির নাম হল ব্রেইল।  দৃষ্টিহীন ব্যক্তিরা এই বিন্দু গুলোর উপর আঙ্গুল বুলিয়ে ৬ টি নকশা অনুযায়ী কোনটি কোন অক্ষর তা অনুধাবন করে এবং লেখার অর্থ বুঝতে পারে। এভাবে তাদের শিক্ষা প্রদান করা হয়।

★ ব্রেইল পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য

১.সর্বমোট ৬ টি বিন্দু থাকে।

২.ব্রেইল লেখা হয় স্টাইলাস নামক কলম দিয়ে।

৩. সাধারণত বাম থেকে ডান দিকে পড়া হয়

৪.একজন দক্ষ ব্রেইল পাঠক সর্বমোট ৬০টি শব্দ  পড়তে পারে।

ব্রেইল পদ্ধতি পুরোপুরিই স্পর্শ ভিত্তিক পদ্ধতি। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় ব্রেইল পদ্ধতির দিকে নিজস্ব ভাষায় উপযোগী করে তৈরি করেছে। এ পদ্ধতির প্রচলন হওয়ার পর থেকে বিশ্বের অন্ধ মানুষদের কাছে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। জীবনের চরমতম অগ্নিপরীক্ষা যারা দৃঢ় ভাবে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন, তাদের জীবন পরিণত হয় মহাজীবনে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনোই মানুষকে জীবন সংগ্রামে দমিয়ে রাখতে পারে না। আমাদের সহযোগিতাই পারে তাদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা প্রতিহত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।


আরও পড়ুন
Theme Created By ThemesDealer.Com