কুলাউড়া প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একই দিনে লাশ হলেন দুই গৃহবধূ! শরমীন আক্তার আছমা (১৯) ও পাখি আক্তার সুমী (২৫) নামে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে কুলাউড়া পৌর শহরের সাদেকপুর ও উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের হিঙ্গাজিয়া এলাকা থেকে ওই দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
কুলাউড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়া পৌর শহরের সাদেকপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুছ সোবহানের স্ত্রী শারমীন আক্তার সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষপান করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। গৃহবধূর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালে যাওয়ার পথে গৃহবধূর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে, তিন বছর আগে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের হিঙ্গাজিয়া এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম হাসানের সঙ্গে কুলাউড়া পৌর শহরের বাসিন্দা মোস্তফা মিয়ার মেয়ে পাখি আক্তার সুমীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের কোনো সন্তান না হওয়ায় গৃহবধূর স্বামী আরেক বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ নিয়ে স্বামী জহিরুলের সঙ্গে সুমীর কলহ চলে আসছিল। সোমবার বিকেলের দিকে সুমী ঘরের আড়ায় ঝুলে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
জানা যায়, গৃহবধূ শরমীনের ১৮ মাসের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। স্বামী একটি ডিলারশিপ কম্পানির গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। কুলাউড়া থানা পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভাব-অনটন ও সাংসারিক টানাপড়েনের কারণে হয়তো বিষপান করেছেন ওই গৃহবধূ।
কুলাউড়া থানার এসআই নাজমুল হক জানান, খবর পেয়ে রাতে গৃহবধূ সুমীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহালে ওই গৃহবধূর শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, এসব ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। মঙ্গলবার দুই গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জাফলং নিউজ/ডেস্ক/শুভ