স্টাফ রিপোর্টার:: মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের জন্য চাঁদপুর মতলব উত্তরে আলেকজান্ডার থেকে হাইমচরের চরভৈরব পর্যন্ত নদীর ৭০কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৫ শে অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময় ইলিশ শিকার, পরিবহন, মজুর, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকবে।
গতবছর ১৫ই অক্টোবর থেকে ৪ ঠা নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এবার তা এগিয়ে আনা হয়েছে, এ সময় নদীতে বালু উত্তোলনের ড্রেজার এবং ব্যক্তিগত স্পিরিট বোর্ড বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। জেলেদের নিষেধাজ্ঞা মানাতে নদীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে শেষ দিনে চাঁদপুর মাছ ঘাটে পর্যাপ্ত ভিড় এবং মাছের আমদানি কম থাকলেও মাছের দাম আকাশ ছোঁয়া। চাঁদপুরে ৫২ হাজার জেলে রয়েছে ইতিমধ্যে ৪৪ হাজার জেলেদের জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন ।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস জানিয়েছেন, এই অভিযান চলাকালে একটি নৌকা যদি নদীতে নামে তাহলে সাথে সাথে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হবে এবং জেল-জরিমানা করা হবে। এই ২২ দিন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।
এদিকে চাঁদপুর জেলা ট্রাস্ক ফোর্স এর উদ্যোগে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। ৪ ঠা অক্টোবর সকালে চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশন মোলহেড এ অভায়াশ্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ তার বক্তব্যে বলেন, ” মা ইলিশ আমাদের রক্ষা করতে হবে। একটা মা ইলিশ যদি আমরা রক্ষা করতে পারি তাহলে আমরা ১২ থেকে ১৪ লাখ ইলিশ কে রক্ষা করলাম। আর যদি একটা মা ইলিশ কে আমরা হত্যা করি তাহলে ১২ থেকে ১৪ লাখ ইলিশ কে হত্যা করলাম। তাই আমরা যদি একটি মা ইলিশ কে রক্ষা করতে পারি আমরা কয়েক লাখ ইলিশ কে রক্ষা করতে পারবো। ইলিশের সরবরাহ বাংলাদেশ বেড়ে যাবে তখন বাজারে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে এতে করে সবার ইলিশ কিনার সামর্থ হবে। বাজারে ইলিশ মাছ সাপ্লাই বেড়ে গেলে আমরা সবাই সাধ্যের মধ্যে ইলিশ ক্রয় করতে পারবো। আমাদের এই জাতীয় মাছ কে আমাদের রক্ষা করতে হবে, এই সময় আমি আমাদের জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চাচ্ছি। আমাদের সাংবাদিক ভাইদের সহায়তা চাচ্ছি এবং জনসাধারণ সকলের সহায়তা চাচ্ছি, মা ইলিশ রক্ষায় সবাই এগিয়ে আসি।
এর আগে ৩রা অক্টোবর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মাহমুদের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে মৎস উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইলিশ মাছকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। মৎস্য বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন সময় বিবেচনা করে এ বছর ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাফলং নিউজ/ডেস্ক/সোহানা