আজ ৩ রা ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস। ১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশে ২৩ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হচ্ছে।
শারীরিকভাবে অসম্পন্ন মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে সূচনা হয় দিবসটির।
দিবসটি পালনের লক্ষ্য হলো প্রতিবন্ধী বিষয়গুলি প্রচার করা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদা, অধিকার এবং জনমঙ্গল এর জন্য সমর্থন জোগাড় করা। করোনা মহামারীর মধ্য দিয়ে এবারের দিবসটি পালিত হচ্ছে।
“covid-19 পরবর্তী অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়তে প্রয়োজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ” এই প্রতিপাদ্যকে আজ সারাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বিশ্বে সাত বিলিয়ন মানুষ রয়েছে, তার মধ্যে এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত। প্রতিবন্ধীদের ৮০ % উন্নয়নশীল দেশে বাস করে। যার মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির স্বাস্থ্য সেবা পায় না। তাদের সমঅধিকার, সমমর্যাদা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এ সরকার কাজ করে চলছে। এছাড়াও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের সমাজের একজন দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ও সমাজ গঠনে অংশগ্রহণমূলক ভূমিকা পালনের জন্য এদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিবন্ধকতা অভিশাপ নয়, তারাও সমাজের অংশ। প্রতিবন্ধী নাগরিকগণের সমমর্যাদা, অধিকার পূর্ণ অংশগ্রহণ ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হোক।
প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় বরং আশীর্বাদ। আসুন আমরা সবাই তাদেরকে সামনে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করি । তাদের পাশে থেকে সহমর্মিতা ও সহযোগিতা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আগামীর করোনাত্তোর নতুন করে সাজিয়ে ভয়হীন অভয়ারণ্যে পরিণত করতে এগিয়ে আসি।
জাফলং নিউজ/ডেস্ক/এফ এস