চারিদিকে চায়ের সমারোহ মাঝখানে চোখ জুড়ানো শাপলা ফুল। পানির ওপর ফুটে থাকা শাপলা ফুলের নজরকাড়া সৌন্দর্য সত্যিই সবাইকে মুগ্ধ করে। চোখে না দেখলে সুন্দরতার অনুমান করা যায় না।
চা বাগানের মধ্যে কাটাইলিয়া। কেউ কেউ নামও দিয়ে দিয়েছেন ‘কাটাইলিয়া লেক’। এই কাটাইলিয়া লেকে ফুটেছে চোখে লাগার মতো শাপলা ফুল। দূর থেকে দেখা মাত্র মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে ‘বাহ কি সুন্দর’। তখন মনের অজান্তেই গুনগুনিয়ে উঠবেন, ‘তুমি সুতোয় বেঁধেছ শাপলার ফুল, নাকি তোমার মন…’।
সেখানে চারিদিকে পাখির কোলাহল শুনা যায়, পাড়ে ঘুরতে থাকলে হঠাৎ দেখা যেতে পারে বানর। চা-বাগানের গাছের এ ডাল থেকে অন্য ডালে লাফাতে দেখলে বেশ ভালোই লাগে। সন্ধ্যা নামলে শিয়ালের পাল দেখা যায়৷ তাছাড়া রয়েছে দেশীয় নানা প্রজাতির পাখির আনাগোনা। এটি আশপাশের পরিবেশ আর গ্রামগুলোকে মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।
যদি এই শাপলার গালিচা দেখতে চান, তাহলে আপনাকে চলে আসতে হবে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের হিংগাজিয়া চা-বাগানে। বাগানের বাংলোর পাশ ঘেঁষে রয়েছে এই কাটাইলিয়া লেক নামক স্থানটি। শাপলার বিলে সময় পেলেই ছুটে আসেন স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমীরা।
শাপলা এক প্রকার জলজ ফুল। শাপলা ফুল বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম (Nymphaea nouchali)। এই ফুল শ্রীলংকারও জাতীয় ফুল। শ্রীলংকায় এই ফুল (Nil Manel) নীল মাহানেল নামে পরিচিত।
একসময় দেশের ডোবা-নালা, খাল-বিল, জলাশয়ে শাপলা ফুল দেখা যেতো। কালের বিবর্তনে আস্তে আস্তে সব হারিয়ে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব জায়গায় গড়ে উঠেছে বড় বড় দালান।
শাপলা ফুল রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আশা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রকৃতিপ্রেমী সচেতনমহল।