শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন

মৌলভীবাজারে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখার নির্দেশ

জাফলং নিউজ ডেস্ক / ১৫৭ শেয়ার
আপডেট : শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২২, ২:৫৭ পূর্বাহ্ন

মৌলভীবাজারে সকল প্রকার অনুষ্ঠান ও সমাবেশ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া এক বার্তায় তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) মৌলভীবাজার জেলায় কোভিড আক্ৰান্তের সংখ্যা ৭৮ জন।

এ অবস্থায় সকল প্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে করোনা ভাইরাসের ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাদেশে সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ১১ দফা বিধি-নিষেধ : করোনা প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা বিধি-নিষেধ সংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বিধি-নিষেধ গুলো হলো:

১. শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে।

২. অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

৩. রেস্তোরাঁয় বসে খেতে ও আবাসিক হোটেলে থাকতে অবশ্যই করোনার টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।

৪. ১২ বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত তারিখের পর টিকার সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

৫. স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টগুলোতে ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতেও দেশের বাইরে থেকে আগত ট্রাকের সঙ্গে শুধু চালক থাকতে পারবেন। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।

৬. ট্রেন, বাস ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেওয়া যাবে। সব ধরনের যানের চালক ও সহকারীদের কভিড-১৯ টিকার সনদধারী হতে হবে।

৭. বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কভিড-১৯ টিকার সনদ প্রদর্শন করতে হবে।

৮. সর্বসাধারণের করোনার টিকা ও বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার ও উদ্যোগ নেবে।

৯. পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সমাবেশ বন্ধ রাখতে হবে।

১০. স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও মাস্ক পরার বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সচেতন করবেন।

১১. কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

জাফলং নিউজ/ডেস্ক 


আরও পড়ুন