মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে আজ অটোরিক্সা ও টমটম চালকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
আজ বিকেলে শ্রীমঙ্গল শহর ও শহতলীতে চালিত অটোরিক্সা ও টমটম চালকদের নিয়ে ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ শামীম অর রশিদ তালুকদার।
এই মতবিনিময় সভায় অংশনেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নেছার উদ্দিন, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কাউন্সিলর মীর এম এ সালামসহ অনান্য কাউন্সিলার ও মহিলা কাউন্সিলারবৃন্দ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুদু মিয়া, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তী,শ্রীমঙ্গল পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা: হরিপদ রায়, শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন, ট্রাফিক বিভাগ মৌলভীবাজার এর টিআই মাহফুজুর রহমান, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি দীপংকর ভট্টাচার্য্য লিটন, শ্রীমঙ্গলের টিআই তপন তালুকদার, শ্রীমঙ্গল অটো চালক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও মালিক পক্ষের প্রতিনিধিরা।
বক্তারা বলেন, শ্রীমঙ্গল শহরের রাস্তাঘাটের তুলনায় সিএনজি, অটো রিস্কা ও টমটমের সংখ্যা হয়েগেছে ১০ গুন। যে কারনে প্রতিদিন শহরে জ্যাম লেগে থাকে। শহরের জীবনযাপন অনেকটা দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এটা এখনই নিয়ন্ত্রন না করলে এক সময় অচল হয়ে পড়তে পারে এই পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল।
এ সময় বক্তারা আলো বলেন, এই অবৈধ যানগুলো নিয়ন্ত্রন করে কয়েকটি চক্র লাখ লাখ টাকার ফায়দা হাসিল করছে।
শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ শামীম অর রশিদ তালুকদার জানান, শ্রীমঙ্গল শহরকে যানজট মুক্ত করতে তিনি পহেলা মার্চ থেকে শহরে এগুলো চলতে দিবেন না। যারা এ ব্যবসা করেন তাদের এ অবৈধ যান বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেন। যারা আইন মানবে না তাদের দোকান সিলগালা করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, সকলের সাথে আলোচনা করে শহরের বাহিরে সীমিত আকারে কিছু টমটম চালানোর অনুমতি দেয়া যেতে পারে।
শ্রীমঙ্গলে ওই সময়ে শ্রীমঙ্গলের অধিকাংশ অটো রিস্কা ও টমটম গুলো ছিলো শহরের ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের চার পাশ ঘিরে।
মাত্র ৪ ঘন্টার জন্য শ্রীমঙ্গল শহরটি যেভাবে খোলামেলা ও যানজটমুক্ত ছিলো এরকম সার্বক্ষনিক ধরে রাখার প্রচেষ্টা থাকবে শ্রীমঙ্গল থানা প্রশাসনের।
জাফলং নিউজ/ডেস্ক