শনিবার (১২ মার্চ) শহিদ স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সমাপনী খেলায় লিডিং চেলেঞ্জারস সাতরাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিজয় নিশ্চিত করে এম.এস.এম রাইডার্স সাতরা।
খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে হারুনুর রসিদ হারুন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাজার ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ মমদুদ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক কামাল হোসেন, হিঙ্গাজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রভাষক আব্দুল মনাফ, ইউসুফ তৈয়বুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ করিম, বিশিষ্ট ক্রীড়ানুরাগী গোলাম মাওলা আহাদ, কোয়াবের সভাপতি মাসুদ হোসেন, জয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও সৈনিক শহীদের স্ত্রী মোছাঃ শেলী বেগম।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, শহীদ স্মৃতি পরিষদের জাহেদুল ইসলাম মাসুম, মানবকল্যান রক্তদান ফাউন্ডেশন এর পরিচালক সেলিম আহমদ, আবুল হোসেন প্রমূখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আপ্তাব, প্রিয় কুলাউড়ার সম্পাদক জাবেদ মিয়া, জাগ্রত সিলেট প্রতিনিধি কামরান আহমদ, আর যে বেলাল, হুমায়ুন কবীর সাদী, মামুন আহমদ প্রমূখ।
সমাপনী খেলায় ধারাভাষ্যকার এবং উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন মোজাম্মেল হক অপু।
সমাপনী খেলায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লিডিং চেলেঞ্জারস সাতরা ৭টি উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করতে সক্ষম হয়। পরে ১৪৮ রানের জবাবে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে এম.এস.এম রাইডার্স সাতরা বিজয় নিশ্চিত করে। ফলে এম.এস.এম রাইডার্স সাতরা ৬ উইকেটে বিজয়ী হয়৷
আমন্ত্রিত অতিথিরা বিজয়ী দলকে ১০ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও রানার্স আপ দলকে ৭ হাজার টাকার প্রাইজমানি তুলে দেন।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ, ম্যান অব দ্যা সিরিজ, সিক্স অব দ্যা ডে তিনটি ফরম্যাটেই উত্তীর্ণ পুরষ্কার গ্রহন করেন বিজয়ী দলের খেলোয়ার শায়েখ আহমদ। সেরা দর্শকদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা। পরে আমন্ত্রীত অতিথিদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন আয়োজকেরা। পরিশেষে সকল টিম ম্যানেজারদের হাতে একটি করে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ মমদুদ হোসেন বলেন, যে ছেলেটা রক্ত দিয়ে বিশ্ব আসনে বাংলাদেশের নাম লিখেছে সে আমাদের গৌরব সৈনিক শহীদ। সে বাস্তব জীবনে খুবই অমায়িক ও মানবিক একজন মানুষ ছিল।
তিনি আরোও বলেন, শীঘ্রই ব্রাহ্মনবাজারে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম হবে। এতে অত্র ইউনিয়ন তথা কুলাউড়ার সকল খেলোয়াড়েরা অনুশীলনের সুযোগ পাবে। আমি আশাবাদী কুলাউড়া উপজেলার মধ্য থেকে আরোও অনেক আইকন খেলোয়াড় তৈরি হয়ে বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
উল্লেখ্য যে, আন্তর্জাতিক জাতি সংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে ২০০৬ সালের ২৫ শে আগষ্ট আইভেরিকোষ্টে সৈনিক শহিদ মোহাম্মদ আব্দুস শহিদ শাহাদাৎ বরন করেন।