কখনো এসএমএস আসছে এভাবে যে, “প্রিয় দেশবাসি ! (COVID-19) করনা ভাইরাস এর জন্য 2,500 টাকা সরকারী অনুদান দেওয়া হবে। টাকা নেওয়ার জন্য নিচের নাম্বারে যোগাযোগ করুনঃ-01810559231“। এমন লোভনীয় ফাঁদে পা দিচ্ছেন কেউ কেউ।
উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের বয়স্ক ভাতা প্রাপ্ত যমুনা বলেন, আমার বয়স্ক ভাতার বিকাশ নাম্বারে বেশ কিছুদিন ধরে লোভনীয় এসএমএস আর ফোন করে টাকা দেওয়ার নামে বিকাশের পিন নাম্বার চাচ্ছে। আর না দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগালিও করছে।
এই তথ্যগুলো বের করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আরেক ঘটনা, জীবন বৈদ্য নামের একজনের কাছ থেকে জানা যায়, তার বোন উপবৃত্তির টাকা যে নাম্বারে আসে, সেই নাম্বারে একটি ফোন আসে প্রায় ২ মাস আগে। তাকে তার উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হবে বলে জানায় তারা। তবে, শর্ত দেয় সততা যাচাই করার জন্য বিকাশ অফিস থেকে ২টি ভেরিফিকেশব এসএমএস যাবে, সেটির পিন নাম্বার দিতে হবে। যদি সঠিক পিন নাম্বার হয় তবেই টাকা দেওয়া হবে। এই কথা বলে হাতিয়ে নেয় বিকাশের পিন নাম্বার। কিছুদিন আগে তার উপবৃত্তির টাকা ৭০০০ আসে এবং তার ভাই বিদেশ থেকে ৯০০০ টাকা একই নাম্বারে পাঠায়। যখন টাকা তুলতে যায় তখন দেখে ব্যালেন্সে কোন টাকাই নেই। পরে তারা উপলব্ধি করতে পারে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পুরো ব্যাপারটি।
উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ সাইস্তা মিয়া বলেন, প্রতারক চক্রদের হাতে এতো সব বিকাশ নাম্বার কিভাবে যাচ্ছে? কে বা কারা তাদেরকে এই নাম্বার দিতে সাহায্য করছে তাদেরকে খুজে বের করতে হবে। তবেই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যাবে। এর জন্যে প্রশাসনকে এই ব্যপারে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান তিনি।
এভাবেই গরিবের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একদল প্রতারক চক্র। যাতে এই ধরনের প্রতারণার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এমন কোন পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানায় ভুক্তভোগীরা।
জাফলং নিউজ/ডেস্ক/শুভ