ওমানে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশের হাফেজ সাঈদ আলম। সাঈদ আলমের বাড়ি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে।
তিনি বর্তমানে স্টুডেন্ট এবং ওমানে অবস্থিত (মসজিদ আল-শায়িলী সোহহার) ইমাম।
গত ২২ এপ্রিল অনলাইনে ওমানের আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে, গত ২৮ এপ্রিল চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়ে গত শুক্রবারে জমকালো আয়োজনের মাধ্যদিয়ে তা সমাপ্ত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওমানের বিভিন্ন স্তরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- রাজ্য পরিষদের সদস্য ইয়াকুব বিন ইউসুফ আল- কামিশকি, শেখ সুলেমান আল-রুশদি, শেখ সালেম আল-জারাদি, শেখ আবদুল্লাহ আল-রুশদী প্রমুখ।
জানা গেছে, গত এপ্রিলের শেষদিকে অনলাইনের মাধ্যমে নির্বাচনী পরীক্ষায় ২২বছর বয়সী হাফেজ সাঈদ আলম বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। প্রথমধাপে বিভিন্ন গ্রুপ থেকে ৫৬ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়। চূড়ান্ত পর্বে পাঁচ দেশের সেরা প্রতিযোগীর মাঝে বাংলাদেশের প্রতিযোগী সাঈদ আলম সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে।
এর আগে ২০১৪-১৫ -১৬ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে সফলতা অর্জন করেন।
সাঈদ আলমের পিতা সফিক উদ্দিন কৃষি উদ্যক্তা ও মা গৃহিণী।
সাঈদ আলম বলেন, আমি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত উমান প্রবাসী। পড়াশোনার টানে ২০২০ সালে উমানে আসা হয় আমারপড়াশোনার সুবিধা নিয়েই এ যাবৎকাল পর্যন্ত প্রবাসে রয়েছি। হিফ্জ সম্পন্ন করেছি নিজ দেশে (বাংলাদেশ)। হাফেজ ক্বারী বেলায়েত উল্লাহ (আল-হাদী) ও হাঃ আরিফ মাহমুদ ও মাওলানা আব্দুন নূর বাহুবলী প্রমুখ উস্তাদগনের এর সংস্রবধন্য হয়ে।
তিনি বলেন, হিফ্জ সম্পন্ন করার পর ঐতিহ্যবাহী ইসলামী বিদ্যাপীঠ জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া, বি-বাড়িয়া, বাংলাদেশ এ ভর্তি হই। সেখানকার উস্তাদদের পরশে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করি। আমার জীবনে শিক্ষার বড় অংশ সেখান থেকেই অর্জিত হয়। আল্লাহ তাআলা প্রিয় প্রতিষ্ঠান ও উস্তাদরকে দিনের জন্য কবুল করুন। আমিন।
জাফলং নিউজ/ ডেস্ক/কেকে