কুলাউড়া উপজেলার পৌরসভায় প্রবেশ স্থানে দাঁড়িয়ে আছে লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছটি। দেখে যে কারো মনে হবে, পৌরসভায় প্রবেশে সবাইকে স্বাগত জানাতেই প্রকৃতির এমন লীলাখেলা। কৃষ্ণচূড়ার ঝরে পড়া পাপড়িতে সবুজ ঘাসের উপর রক্তলাল পুষ্পশয্যা সৃষ্টি হয়েছে। যা প্রখর রোদের উত্তাপের মাঝে চোখ জুড়িয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রাকৃতিক মুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে সেখানে উপস্থিত হলে হালকা বাতাসে যখন কৃষ্ণচূড়ার ডালগুলো দোল খায়, তখন মন ও হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায়। তখন এই দৃশ্য দেখে মনে পড়ে যায় জাতীয় কবির কবিতা- ‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরী কর্নে— আমি ভূবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্নে’।
অনেকেই মোটেরসাইকেল, প্রাইভেট কার থামিয়ে অপরুপ দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দী করে রাখছেন।
এসময় কথা হয় শ্রীকান্ত প্রজাপতি সাথে, তিনি বলেন, একপাশে পৌরসভায় স্বাগতম স্তম্ভ, রাস্তার অপর পাশে কৃষ্ণচূড়া। দেখেই মনে হয় প্রবেশের মুহুর্তে কৃষ্ণচূড়া তার ফুল দিয়ে বরন করে নিচ্ছে।
সবুজের বুক চিরে উঁকি দিচ্ছে রক্তিম লাল আভা কৃষ্ণচূড়া। গাঢ় লাল রঙের ফুলে ভরে গেছে গাছের প্রতিটি শাখা। আর মাঝারি আকারের ডালগুলো ফুলে ফুলে নুয়ে আছে। গ্রীষ্মের প্রখর রোদের উত্তাপের মাঝেও মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভাকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত এই কৃষ্ণচূড়া গাছটি।