মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রচলিত অভিজাত ফলের ভিতর আঙ্গুর অন্যতম। মূলত অত্যন্ত রসালো এই ফল স্বাদের কারণে আমাদের নিকট অধিক প্রিয়। তাছাড়া এই ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। বাজারে গেলেই ফরমালিন ফল পাওয়া যায়। সেই কথা মাথায় রেখে আমার এই উদ্যোগ। তবে এই ফল চাষের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ফল টক হয়ে যায়। প্রথমবার ফল বেশি টক ছিল, সেই বছর কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে কিছু তথ্য পেয়ে এবার অনেকটাই কমেছে।
বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করার ইচ্ছা আছে কিনা জানতে চাইলে মোশাররফ জানান, ইচ্ছে আছে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করার। যদি সরকার থেকে চাষের পদ্ধতিসহ অনান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়া গেলে করতে সমস্যা হবে না।
এই ব্যাপারে উপজেলার ব্রাক্ষণবাজার ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, আঙ্গুর ফল চাষের জন্যে আমার জানামতো তেমন কিছু আসে না সরকার থেকে। তবে কেউ যদি চাষ করে তাহলে যতটুকু সম্ভব আমি তাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করবো এবং সরকার থেকে যদি কোন সাহায্য আসে সে পাবে। আর আঙ্গুর ফল দো-আঁশযুক্ত লালমাটি, পাহাড়ের পাললিক মাটি এবং জৈবিক সার সমৃদ্ধ কাঁকর জাতীয় মাটিতে আঙ্গুর চাষ ভাল হয়ে থাকে। ফল টক মাটি ভেদ এবং আবহাওয়ার কারনে হয়ে থাকে। তবে, সঠিক ভাবে চাষে টকের পরিমান কমিয়ে আনা সম্ভব।
অনেকেই মনে করছেন আঙ্গুর ফলের চাষ করে যারা বেকার রয়েছেন তারা বেকারত্ব দূর করতে পারেন। কম খরচে সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাফলং নিউজ/ডেস্ক/শুভ