শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

চা উৎপাদনে সুফল বয়ে এনেছে বৃষ্টি

জাফলং নিউজ ডেস্ক / ১৫১ শেয়ার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩, ২:১২ অপরাহ্ন

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলাসহ সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলায় গত তিন দিন ধরে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে চলতি মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত চায়ের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে চা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের ধারনা।

প্রনিং (আগা ছাঁটাই) করা চা গাছে দ্রুত নতুন পাতা গজাতে শুরু করবে । এই বৃষ্টিপাতের কারণে চা সংশ্লিষ্টরা মহাখুশি। চা শিল্পাঞ্চলে বইছে আনন্দের বন্যা।
কুলাউড়া উপজেলার হিংগাজিয়া, লুহানী, লংলা,হলিছড়া চা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টিপাতের কারনে খুশি চা শ্রমিকরা। পাতা বেশি হলে তাদের আয়ের উৎসও বাড়বে। দৈনিক নির্দিষ্ট বেঁধে দেওয়া ওজনের বেশি চা-পাতা তুলতে পারলে পাওয়া যাবে দৈনিক মজুরি থেকে অতিরিক্ত টাকা।
২০২৩ সালে চা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ১০২ মিলিয়ন কেজির বেশি ধরা হয়েছে। ২০২২ সালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০০ মিলিয়ন কেজি। শ্রমিক কর্মবিরতির কারণে সেখান থেকে একটু কম হয়েছে। তিন-চার সপ্তাহ চা শ্রমিকরা কাজ না করায় চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় এর প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে কাংখিত বৃষ্টিপাত চায়ের জন্য সুফল বয়ে আনবে। ২০২৩ সালের এই মওসুমে চা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ১০২ মিলিয়ন কেজির বেশি ধরা হয়েছে। মার্চের এই বৃষ্টিপাত আমাদের চা সংশ্লিষ্টদের কাছে আশির্বাদ সরূপ। টিপিং এর কাজটি হবে যথাযথ। ফলে চায়ের গুণগত মানও অক্ষুন্ন থাকবে। কাংখিত ধারায় বৃষ্টিপাত হলে চা উৎপাদনে এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আমি আশাবাদী।


আরও পড়ুন