মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫১ অপরাহ্ন

যে গল্পটা শুধুই টাইগার পেসারদের

জাফলং নিউজ ডেস্ক / ১৫৯ শেয়ার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩, ২:৪৪ অপরাহ্ন

শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ বরাবরই স্পিন নির্ভর। ঘরের মাঠে যে কয়টা স্মরণীয় জয় আছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয় সাধারণত, ‘ঘূর্ণিতে কুপোকাত’ কিংবা ‘স্পিন বিষে নীল’। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ধীরে ধীরে গল্পটা পাল্টাচ্ছে। অ্যালান ডোনাল্ডের ম্যাজিকে টাইগার পেসাররা মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। 

এর আগে ২০১৫ সালের দিকে মাশরাফির নেতৃত্বে রুবেল-মুস্তাফিজ-তাসকিনদের নিয়ে দারুণ একটা পেস অ্যাটাক তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি আবারও বাংলাদেশের ক্রিকেটে দেখা যাচ্ছে পেস বোলারদের দাপট। 

বাংলাদেশ দল এখন আর স্পিন নির্ভর নয়। বরং পেসাররাই কাঁপিয়ে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষকে। তবে নিয়মিত তারা ভালো করলেও এর আগে এমন ইতিহাস হয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটে, বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যা হলো। 

তিন পেসার হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ আর এবাদত হোসেন মিলেই শেষ করে দিয়েছেন আয়ারল্যান্ডকে। এর মধ্যে হাসান মাহমুদ একা নিয়েছেন ৫ উইকেট, তাসকিনের শিকার ৩টি আর বাকি দুটি উইকেট এবাদত হোসেনের।

ক্যারিয়ারের সপ্তম ইনিংসে এসে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ। 

 

বাংলাদেশের নবম পেসার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পেলেন হাসান। এর আগে ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ, আফতাব আহমেদ, ফরহাদ রেজা, রুবেল হোসেন, জিয়াউর রহমান।

 

সিলেটে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২৮.১ ওভারে ১০১ রানেই গুটিয়ে গেছে আইরিশরা। তাদের যে ১০ উইকেটের পতন ঘটেছে, সবকটিই নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা।

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে কোনো ফরম্যাটেই পেসারদের ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব ছিল না। আগে পেস বোলিংয়ে ৯ উইকেট ছিল ৪ বার, সবকটিই টেস্টে। 

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজে রেকর্ড গড়া জয় পাওয়া প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন এবাদত হোসেন। তাসকিন ৬ ওভারে স্রেফ ১৫ রান দিয়ে নেন ২ শিকার। এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বৃষ্টি বাধায় ফিল্ডিং করতে হয়নি বাংলাদেশকে। সবশেষ আজ বৃহস্পতিবার সিলেটে স্বপ্নের মতো একটা দিন কাটালেন বাংলাদেশ পেসাররা। প্রথমবারের মতো কোনো ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষের সবকটি উইকেট গেছে অ্যালান ডোনাল্ডের শিষ্যদের দখলে। এর আগে ইনিংসে পেসারদের নেওয়া সর্বোচ্চ উইকেট ছিল ৯টি। ক্যারিয়ার সেরা পাঁচ উইকেট শিকার করে সিরিজের শেষ ম্যাচেও ম্যাচসেরা হলেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ।


আরও পড়ুন
Theme Created By ThemesDealer.Com