কামরান আহমদ:: মৌলভীবাজার-শমসেরনগর সড়কে ভাঙা রাস্তা আর করোনার অজুহাতে যাত্রীদের কাছ থেকে দিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ করলে পরিবহনশ্রমিকরা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যস্ততম এ সড়কে মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মৌলভীবাজার টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সমাজসেবার এতিম ও প্রতিবন্ধী মেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, রেডিও পল্লী কণ্ঠের অফিস, এম ঈসরাইল এ এম আমীর উচ্চ বিদ্যালয়, জিরেনিয়াম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে বিএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করেন। কমলগঞ্জ, শমসেরনগর, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গলের সহস্রাধিক লোকের যাতায়াত রয়েছে ওই সড়কে।
ক্ষার্থীদের অভিযোগ, আগে ভাঙা রাস্তা ও করোনার ওজুহাতে দ্বিগুণ ভাড়া নিতেন পরিবহন চালকরা। বর্তমানে রাস্তা মেরামত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক। তারপরও দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম চালকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতকাল এক সিএনজিচালক ১০ টাকা ভাড়ার জায়গায় ২০ টাকা দাবি করেন। আমি এর প্রতিবাদ করি। তখন সিএনজিচালক আমাকে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে সম্মান বাঁচাতে টাকা দিয়ে চলে আসি।’
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী নির্জন পাল জাগো নিউজকে বলেন বলেন, রাস্তা ঠিক হয়ে যাওয়ার পরও দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। আমি শ্রীমঙ্গল থেকে প্রতিদিন কলেজে আসি। মৌলভীবাজার চৌমুহনী থেকে কলেজ পর্যন্ত দ্বিগুণ ভাড়া। বেশি ভাড়ার জন্য আমাকে বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে।
পলিটেকনিকের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা জালাল উদ্দিন বলেন, ১০ টাকা ভাড়ার জায়গায় ২০ থেকে ২৫ টাকা দিতে হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে সিএনজিচালকরা খারাপ ব্যবহার করে।
জানতে চাইলে মৌলভীবাজার-শমসেরনগর রোডের সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন সংগঠনের সভাপতি সুজা মিয়া ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমরা আপাতত ভাড়া বেশি নিচ্ছি। আমরা বিষয়টি জেলা পরিষদকে জানিয়েছি। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য ছাড় দেওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে আগামী বৈঠকে সিদ্ধান্দ হবে। তবে কোনো চালক যদি যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে খারাপ আচরণ করেন এবং এর সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে ওই চালককে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।
মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় প্রধান (ফুড) এ কে এম খাদেমুল বাশার জাগো নিউজকে বলেন, সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি কলেজের শিক্ষার্থীদেরও দিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, কলেজে যাতায়াতের সময় ভাড়া নিয়ে প্রতিদিন বাগবিতণ্ডা হয়। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ওই ভাড়া দেওয়া অসম্ভব। ভাড়া সাধ্যের মধ্যে হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন।
জাফলং নিউজ/ডেস্ক/কেকে/শুভ