শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন

মৌলভীবাজারে ২৫ ডোজ নষ্ট করোনা টিকা উদ্ধার

জাফলং নিউজ ডেস্ক / ১৬৪ শেয়ার
আপডেট : সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০২১, ২:০১ অপরাহ্ন

 

মৌলভীবাজারে গনটিকার ২৫ডোজ নষ্ট করোনা টিকা  উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি ::

মৌলভীবাজাররের কুলাউড়ায় গণটিকার ২৫ডোজ করোনা টিকা নষ্ট হয়েছে। ঘটনার ৬দিন পর সোমবার(৪ অক্টোবর) পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের টিকা কেন্দ্র থেকে নষ্ট ভ্যাকসিন উদ্ধার করা হয়। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে গণটিকার ১ম পর্যায়ে ১০ হাজার ডোজ টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০০ ডোজ করে টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তারের সার্বিক তত্বাবধানে ৯ ওয়ার্ডের সুপারভাইজারের দায়িত্ব পান সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এইচ আই) আব্দুল আউয়াল।

পৌরসভার ৮টি ওয়ার্ডে ২০০ জন করে টিকা পেলেও ৮নং ওয়ার্ডে টিকা পান ১৭৫ জন। ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে টিকা কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়। বরাদ্দকৃত ২ শত ডোজ টিকার ২৫ ডোজ রয়ে যায়। কিন্তু ২৫ ডোজ টিকা সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। ৬ দিন পর স্থানীয় কাউন্সিলর আতাউর রহমান চৌধুরী ছোহেল তাঁর কার্যালয়ে গত রোববার রাতে ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার বক্স পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি বিষয়টি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তারকে অবগত করেন। সোমবার  দুপুরে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার বক্সে নষ্ট হয়ে যাওয়া ৫ ভায়েল ২৫ ডোজ করোনার টিকা ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেন।

স্থানীয় কাউন্সিলর আতাউর রহমান চৌধুরী ছোহেল মুঠোফোনে বলেন, মঙ্গলবার ৮নং ওয়ার্ডে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আমার কার্যালয়ে গণটিকার অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত  টিকা কার্যক্রম শেষে টিকার বাক্স, টিকাদানের প্রয়োজনীয় তথ্যর কাগজাদি ফেলে রেখে যান। রোববার রাতে বিষয়টি আমি কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে তাঁরা সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে টিকা কার্যক্রমের সুপারভাইজারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো: আব্দুল আউয়াল বলেন, আমার দায়িত্ব শুধু টিকা কার্যক্রম সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা সেটা দেখার। বিকেলে খবর পেয়েছি ওই ওয়ার্ডে ১৭৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে টিকা বাকি রয়েছে কিনা সেটা জানতামনা। রোববার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি।

বিষয়টি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার বলেন, বিষয়টি আমাদের ভুলবশত হয়ে গেছে। ইচ্ছে করেতো কেউ রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে চায় না।

মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি অবশ্যই দায়িত্বহীনতা। গাফিলতির জন্য টিকা নষ্ট হলো। আমি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

জাফলং নিউজ/ডেস্ক/নাহিদ/এস


আরও পড়ুন