বাংলাদেশের অন্যতম স্থলবন্দর সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন দিয়ে পুনরায় ভারতীয় কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে।
শুক্রবার ভারতীয় সব জটিলতা কাটিয়ে ও সেখানকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে তামাবিল কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ভারতের রপ্তানিকারক সংগঠনের নেতারা পুনরায় কয়লা রপ্তানির বিষয়টি সে দেশের উচ্চ আদালত থেকে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে তামাবিল কয়লা আমদানিকারক গ্রুপকে অবহিত করেছেন। আমদানি ও রফতানিকারক সংগঠনের নেতাদের যৌথ বৈঠকের পর শুক্রবার থেকে পুনরায় কয়লা আমদানি শুরু হয়।
ভারতীয় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত শুধু মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা সিলেটের তামাবিল শুল্ক স্টেশন নয়, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের তিন শুল্ক স্টেশন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া এবং কড়ইতলীসহ একযোগে দেশের ছয় স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়েই ভারতীয় কয়লা আমদানি শুরু হলেও আকস্মিক ১৫ জানুয়ারি দুপুর থেকে ফের কয়লা রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ভারতের মেঘালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন ডিমাহাসাও জেলা ছাত্র ইউনিয়নের মামলার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল সে দেশের ন্যাশনাল গ্রি ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) আদালত মেঘালয় সরকারকে অপরিকল্পিতভাবে কয়লা খনন ও পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেয়।
একই বছরের ৬ মে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় মুখ্যসচিব মেঘালয় রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রশাসককে ওই নির্দেশনা কার্যকর করতে বলা হয়। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ২০১৪ সালের ১৩ মে থেকে মেঘালয়ের সীমান্ত জেলাগুলোয় ১৪৪ ধারা জারি করে কয়লা পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শুল্কবন্দর সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া-চারাগাঁও, বাগলী, সিলেটের তামাবিল, ময়মনসিংহের গোবড়া এবং কড়ইতলীসহ ছয় শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের মেঘালয় থেকে নিয়মিত কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
তবে সব জল্পনা কল্পনা শেষে, আবারো সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন দিয়ে শুক্রবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে ৫ গাড়ি কয়লা তামাবিল স্থলবন্দরে আসে। দীর্ঘ দিন পর তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আসায়, খুশি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা আমদানিকৃত কয়লা দেখতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা ভীড় করেন।
এসময়, তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানি কারক গ্রুপের সভাপতি, এম লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন (ছেদু), সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান (মিন্টু) সহ-সভাপতি সি আই পি হাজী জালাল উদ্দীনসহ সংগঠনের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।