টানা তিন দিনের ছুটিতে চায়ের রাজ্যে নেমেছে পর্যটকদের ঢল। খালি নেই হোটেল-রিসোর্টের রুম। চিরসবুজে ঘেরা চা-বাগানগুলো ঘুরে দেখতে ছুটছেন পর্যটকরা।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার প্রায় সবকটি চা-বাগানে পর্যকদের আগমন চোখে পড়ার মতো। তার মধ্যে গাজিপুর চা-বাগান, লংলা চা-বাগান, মাথিউরা চা-বাগান, লুহানি চা-বাগান, সিআরপি রিসোর্টের আশেপাশের চা-বাগানগুলোতে পর্যকটদের আগমন বেশি দেখা যায়। ছুটির প্রথম দিনের তুলনায় ২য় দিনে পর্যটকের সংখ্যা বেশি।
চা বাগানের আঁকাবাঁকা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ছবি তুলছেন, কেউবা চা বাগান ঘুরে দেখছেন। অনেকে সাথে করে খাবার নিয়ে এসে বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করে খাবার খাচ্ছেন।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা ইসমাইল, ইমাদ ও নরশিংদী থেকে আশা শিফন, হিমেল, রিশা ও রাইসার সাথে কথা বলে জানা যায়, এই রকম ছুটি খুবই কম পাওয়া যায়। তাই এই ছুটিকে আরও আনন্দময় করতে তারা এসেছেন চায়ের রাজ্য খ্যাত মৌলভীবাজার ঘুরে দেখতে।
রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলা থেকে ঘুরতে আসা নবীন সরকার জানান, আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিলো মৌলভীবাজারের চা-বাগান এবং পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখার। এই স্বপ্ন পুরন হয়েছে। খুবই মনোরম পরিবেশে ঘুরতে পেরে ভালো লাগছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, কুলাউড়ায় উল্লেখযোগ্য রিসোর্ট না থাকার কারনে অধিকাংশ পর্যটকরাই শ্রীমঙ্গলের আশেপাশের রিসোর্টে অবস্থান নিয়েছেন।
মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসের রিকবদার জানান, এই ছুটিতে অনেক পর্যটকের আগমন হবে সেই ধারণা থেকে আমাদের আলাদা প্রস্তুতি রয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রে টুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে। পর্যটকরা যেন নিরাপদে পর্যটক স্থানগুলোতে ঘুরতে পারেন সেজন্য সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে আমরা সতর্ক।