৪৫ শতাংশ জমিতে বারি সরিষা ১৮ চাষে লাভবান হয়েছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের কৃষক আব্দুল বাছির। স্বল্প খরচে নতুন উদ্ভাবিত বারি সরিষা-১৮ চাষ করে লাভবান হয়েছেন এই কৃষক। গত ৩০ নভেম্ভর ৪৫ শতাংশ জমিতে সর্ব প্রথম নতুন উদ্ভাবিত বারি সরিষা-১৮ রুপন করে ১ ফেব্রয়ারী ফসল ঘরে তুলেন তিনি।
আব্দুল বাছির জানান, প্রথমবারের মতো বারি সরিষা-১৮ চাষ করে আমি সফলতা অর্জন করেছি। এটা সুনামগঞ্জের প্রথম ও নতুন উদ্ভাবিত সরিষা চাষ। এই প্রজাতির সরিষা চাষে আড়াই থেকে তিন মাসে ফলন হয়। ৪৫ শতাংশ জমিতে বারি সরিষা চাষ করতে আমার খরচ হয় ছয় হাজার টাকা আমি সরিষা পেয়েছি সাত মন যার বাজার মূল্য প্রায় একুশ হাজার টাকা। বারি সরিষা-১৮ চাষ করে আমি পনের হাজার টাকা লাভ করতে পেরেছি।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই), সিলেটের বাস্তবায়নে চলতি রবি মৌসুমে জগন্নাথপুর উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি সরিষা-১৮ এর চাষাবাদ হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল বলেন, কৃষিবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে, খাদ্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে, সিলেট বিভাগের কৃষি এবং কৃষকের চাষাবাদ ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং আয় উপার্জন বৃদ্ধির জন্য সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বিএআরআই অত্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বারি সরিষা-১৮ কৃষকের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সুনামগঞ্জের কৃষকেরা আগামীতে বারি সরিষা-১৮ চাষের জন্য অনেক আগ্রহ হবে, এটাই আশাবাদী।