মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা রাজনগর উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্থানীয় লোকজন ও রাজনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে সংঘর্ষের সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন পাশের একটি বাড়িতে আটকা পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের লঙ্গু পুল (আশ্রাকাপন) এলাকায় মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের লঙ্গু পুল এলাকায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখ্তের লোকজন মিছিল নিয়ে আসছিলেন। একই সময় স্বতন্ত্র (বিদ্রাহী) প্রার্থী সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া মিলনের নেতৃত্বে একটি মিছিল কদমহাটা থেকে কুলাউড়া-মৌলভীবাজার সড়ক দিয়ে লঙ্গু পুল এলাকায় আসে।
উত্তেজনার একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের লোকজন ধাওয়া দিলে নৌকার প্রার্থীর পক্ষের লোকেরা পাশের আশ্রাকাপন এলাকার ওয়াহিদ মিয়ার টিনের ঘরে আশ্রয় নেয়। এ সময় ওই ঘর ভাংচুর করা হয়।
খবর পেয়ে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফরিদ উদ্দীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওয়াহিদ মিয়ার বাড়িতে আটক পড়া নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের উদ্ধার করে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে পাঠায়।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। আহতরা হলেন, সিদ্দীক মিয়া (৭০), সুহেল মিয়া (২৭), ফুরকান মিয়া (৩৫), মকবুল মিয়া (৬৫), বাচ্চু মিয়া (৪৫), সুনাই মিয়া (৩৩), আলআমিন (৩৮), শামছুল মিয়া (১২), স্বপন মিয়া (৪৫), আব্দুল আহাদ (৩৫)।
তাদরকে উদ্ধার করে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে গিয়েও উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে আবারো পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যপার আওয়ামীলীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখ্ত বলেন, বেশ কয়কদিন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার লোকজন উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আসছেন। ভোটারদের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। আজকে আমার সমর্থকদের প্রচারণার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতত্বে হামলা চালানো হয়। ঘড়-দোর ভাংচুর করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া মিলনের মোবাইল ফোন একাধিকবার কল দিলও তিনি রিসিভ করন নি।
রাজনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) ফরিদ উদ্দীন বলেন, দুই প্রার্থীর পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন পক্ষ লিখিত অভিযাগ দেয়নি।
জাফলং নিউজ/ডেস্ক