সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামস্থ লতিফিয়া ইসলামিক আইডিয়াল একাডেমির সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সুলতান মোহাম্মদ শাহ জামান।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৬ ই মার্চ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো বন্ধ হয় জামানদের স্কুলও। ফলে দীর্ঘদিন সে বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলো! করোনার কারণে জামানের স্কুল বন্ধ হওয়াতে, দেখা হয়নি তার বন্ধুদের সাথে।স্কুল বন্ধ কালীন সময়ে বাসায় একা একা কেটেছে তার করোনাকালীন দিনগুলো। করোনাকালীন অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে জামান বলে “এতদিন এক বিষাদময় সময় কাটিয়েছি, বাসায় একা একা দিন কাটতো। বন্ধুদের সাথে সরাসরি দেখা হতো না। শুধু অনলাইন ক্লাসে মোবাইলের স্ক্রিনে তাদের মুখ দেখতাম, তখন এক শুন্যতা বিরাজ করতো, একাকীত্বের বিষাদে অনেকটা পাঠবিমুখ হয়ে পড়েছিলাম।
জামানের কথাতে ছিলো এক বিষাদের ছায়া। কথাগুলো বলার সময় মনখারাপের স্পষ্ট চিহ্ন ছিলো তার মুখে। বুঝাই গিয়েছে যে সে এক দুঃসময় পার করেছে। স্কুল খুলাতে আনন্দের ছোয়াঁ লেগেছে জামানদের মনে।স্কুল খুলার অভিব্যাক্তি জানাতে গিয়ে জামান উচ্ছসিত মনে বলে, “বহুদিন পর বন্ধুদের সাথে আজ সরাসরি দেখা হলো, আজকে হৃদয়ে আনন্দের ঢেউ বইছে। আজ যেন বহুদিন পর প্রাণ ফিরে পেয়েছি।অতঃপর আমার অপেক্ষার অবসান হলো।ঝরে পড়া শিক্ষার্থী বন্ধুদের বিষয়ে আফসোস ভরা কন্ঠে সে বলে, “নিম্নবিত্ত পরিবারের আমার অনেক বন্ধু আজ কঠোর কর্মজীবনে।আর কখনো তাদের সাথে একসাথে ক্যাম্পাসে ফেরা হবে না!
এরকম নানা কথায় জামানের সাথে কাটলো একটি বিকেল।শুনা হলো তার মনের নানা কথা। ভালো থাকুক জামানেরা।ফিরে আসুক তার ঝরে পড়া বন্ধুরা এই প্রত্যাশা।